হেরিটেজ রাজশাহী’র আম প্রদর্শনী
হেরিটেজ রাজশাহী একটি গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান। রাজশাহী, বরেন্দ্র এমনকি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে মানুষের কাছে উপস্থাপনের লক্ষেই হেরিটেজ রাজশাহী স্থাপন করে রাজশাহী মহানগরীর কয়েকজন সচেতন মানুষ। যার প্রধান উদ্যোক্তা গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী। পেশা জীবনে তিনি পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত ছিলেন এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদ থেকে অবসরে যান। চাকরিকালীন সময়ই তাঁর উদ্যোগে ২০০৫ সালের ৭ই জুন সাহেব বাজার জামাল সুপার মার্কেটে পূবালী ব্যাংকের উপ মহাব্যবস্থাপক হাসানুজ্জামানের কক্ষে হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বেই একটি সভা অনুিষ্ঠত হয়েছিল। সভায় চেম্বার অব কমার্স রাজশাহীর পরিচালক কবিরুর রহমান খান, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান ডন, বিজ্ঞান গবেষণাগারের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আজাদুর রহমান খান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাফিউল ইসলাম, ব্যবসায়ী মো. আমজাদ হোসেন, ব্যবসায়ী আবদুল গাফ্ফার খান, সালেহ আহমদ বাচ্চু, আব্দুল আজিজ চৌধুরী, প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মাহবুব সিদ্দিকীর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রতিষ্ঠানের নামকরণ হয় হেরিটেজ রাজশাহী। প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য কবিরুর রহমান খানকে আহবাহক করে ১১ সদস্যের আহবাহক কমিটি গঠিত হয়। ভুবন মোহন পার্কের পশ্চিম পাশে কাবিল ম্যানসনের দোতলার একটি কক্ষে ২০০৬ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হেরিটেজ রাজশাহীর প্রথম অফিস খোলা হয়। ২০০৬ সালের অক্টোবরে অফিস স্থানান্তর হয় রাণী বাজারের মোহিনী নিকেতনের পূর্বপাশের একটি পুরনো বাড়ীর দোতলায়। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে হেরিটেজ রাজশাহীর নির্বাহী কমিটি গঠন হয়। এ কমিটির সভাপতি হন মাহবুব সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি হন নির্মল কুমার কর্মকার, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান ডন, ট্রেজারার হন প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম। ২০১৩ সালের ৩ মার্চ প্রতিষ্ঠানটি সমাজ সেবা অধিদপ্তরের রেজিষ্ট্রেশনভুক্ত হয়। রেজিষ্ট্রেশন নং-রাজশাহী-৯৬০/১৩, তাং -৩.৩.২০১৩। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই হেরিটেজ রাজশাহী ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলা যেমন- আম মেলায় রাজশাহীর বিভিন্ন জাতের আম, ধান প্রদর্শন করে। রাজশাহীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও খ্যাতিমান খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা প্রদান, ঐতিহাসিক স্পট পরিদর্শন, সভা-সিম্পোজিমের আয়োজন, গ্রন্থ প্রকাশ করে থাকে।
উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা পরম্পরা ২০০৮, পরম্পরা (২য়-ক্রীড়া বিষয়)-২০১৪, আম ২০১১, রাজশাহী সিটি পাস্ট অ্যান্ড প্রেজেন্ট (গ্রন্থ-ভিডিও) ২০১২। ২০০৯ সালে চেম্বার ভবনের কনফারেন্স রুমে লালন সঙ্গীতের আয়োজন করে হেরিটেজ রাজশাহী। প্রসিদ্ধ লালন গবেষক ফরহাদ মাজহার এ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন। এ ছাড়াও কুষ্টিয়া, ঢাকা, রাজশাহীর লালন গীতির শিল্পীরাও গান পরিবেশন করেন।৫৭৪ হেরিটেজ রাজশাহীর উপদেষ্টা ড. এবনে গোলাম সামাদ, প্রফেসর ড. খোন্দকার সিরাজুল হক, প্রফেসর ড. মো. মাহবুবর রহমান , গবেষক মুহাম্মদ লৎফুল হক। হেরিটেজ রাজশাহীর পক্ষে গবেষণা করেন মাহবুুব সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ জামাল কাদেরী ও সহকারী অধ্যাপক মো.কায়সারুজ্জামান।